Fashion Design, best fashion house in dhaka
![]() |
Best fashion house in Dhaka |
ফ্যাশন ডিজাইন কি? কিভাবে ফ্যাশন
ডিজাইনার হবেন?
অনেকে বলেন, ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাই? কিন্তু, কিভাবে ফ্যাশন ডিজাইনার হবেন? সেটা জানেন না। ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়াটা খুব বেশি কঠিন না, যদি আপনি সঠিক নির্দেশনা পান। তবে সঠিক নির্দেশনার পাশাপাশি নিজস্ব কিছু গুণ আর দক্ষতা থাকাও জরুরি।
ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের সাথে পোশাকের ব্যাপারটা সরাসরি জড়িত থাকলেও পোশাকের অন্যান্য আনুষাঙ্গিক ব্যাপারও সমানভাবে জড়িত। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজের দক্ষতা সবার কাছে পৌঁছানো। আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন মেনে চলেন, তাহলে এই ক্রিয়েটিভ পেশা দিয়ে মার্কেটকে হাতের মুঠোয় আনা খুব একটা কঠিন হবেনা আপনার জন্য। Best fashion house in Dhaka
আজকের আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে গেলে ঠিক কি কি জানতে হবে। আরো জানতে পারবেন কোথায় ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের উপর পড়াশোনা করার সুযোগ আছে। সবশেষে আপনার জন্য রয়েছে নিজেকে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে তুলে ধরার কিছু টিপস।
ফ্যাশন ডিজাইনার
আপনি কি ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে ঝটপট পড়ে ফেলুন এই আর্টিকেলটা। তো আর দেরি কিসের? চলুন শুরু করি একের পর এক ডিটেইলস!
ফ্যাশন ডিজাইন কি?
ফ্যাশন ডিজাইন হচ্ছে এমন একটা শিল্প, যেখানে পোশাক থেকে শুরু করে জুতা, ব্যাগ, স্কার্ফ, গয়না ইত্যাদির উপর নকশা প্রয়োগ করে নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলা হয়। আবার চলমান কোন একটা ধারাকে, পোশাকে প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলাও ফ্যাশন ডিজাইনের অন্তর্ভুক্ত।
ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজের ধরণ:
- পোশাকের ডিজাইন তৈরি করা।
- কি ধরনের পোশাক তৈরিতে কি ধরণের কাপড় ব্যবহার করা হলে ভাল হবে তা ঠিক করা।
- পোশাকের কি ধরনের হবে তা নির্ধারণ করা।
- পোশাকের রং কেমন হবে তা ঠিক করা।
- পোশাকের আনুমানিক খরচ সহ বাজেট নির্ধারণ করা।
- নিত্য নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড সম্পর্কে ধারণা রাখা এবং সকল কাজের তদারকি করা।
ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স
অফলাইনে ফ্যাশন ডিজাইন শিখতে হলে আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী নিতে হবে। সাধারণত ৪ বছর মেয়াদী অনার্স বা ডিপ্লোমা বা কোর্স করলেই আপনি এই কাজের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ফ্যাশন ডিজাইন শেখার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে। এখানে কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া হল –Best Fashion house in Dhaka
১. বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি
ঠিকানা: বাড়ি # 3 / জিএ, শ্যামলী, রোড # ১, ঢাকা – ১২০৭
ফোন: 01629-171717
ইমেল: info@bifdt.com
ওয়েবসাইট: www.bifdt.com
২. বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
ঠিকানা: ৯২, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ অ্যাভিনিউ
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল,ঢাকা – ১২০৮
ফোন: 02 58151788
ইমেল: info@butex.edu.bd
ওয়েবসাইট: butex.edu.bd
৩. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি
ঠিকানা: ৭৪, সি / এ, ওয়্যারলেস গেট মহাখালী, ঢাকা – ১২১২
ফোন: 01731220099
ইমেল: info@nift.edu.bd
ওয়েবসাইট: nift.edu.bd
৪. ঢাকা ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি
ঠিকানা: প্লট -৯, ব্লক-কা, বিভাগ -৬, মেইন রোড -১, মিরপুর, ঢাকা – ১২১৬
ফোন: 02-58052309
ইমেল: info@dift.edu.bd
ওয়েবসাইট: dift.edu.bd
৫. বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি
ঠিকানা: নিশতনগর, তুরাগ, ঢাকা – ১২৩০
ফোন: 9606-808080
ইমেল: info@buft.edu.bd
ওয়েবসাইট: buft.edu.bd
৬. শহীদ এস এ মেমোরিয়াল টেক্সটাইল ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেক্সটাইল কলেজ
ঠিকানা: বাড়ি # ২০, রোড # ১৩, সেক্টর # ১০, (কামারপাড়া বাস স্টপের কাছে), উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা – ১২৩০
ফোন: 01949150150
ইমেল: ssamft.bd.2015@gmail.com
ওয়েবসাইট: samftc.edu.bd
অনলাইনে ফ্যাশন ডিজাইন শেখার কোর্স আছে বটে তবে সেগুলো ফ্রি পাবেন না। এমনকি ফ্রিতে কোর্স ভিডিও দেখারও সুযোগ খুব একটা নেই। অনলাইনে শিখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ডলার খরচ করতে হবে।

ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ Best Fashion house in dhaka
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার খরচ: ৩ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার খরচ: ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।
ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা
কেউ ধাপে ধাপে ফ্যাশন ডিজাইনিং শিখে, কেউ বা আবার নিজের মত করে কাজ করতে করতেই শিখে যায়।
আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য যোগ্যতা: এসএসসি এবং এইচএসসি / সমমান উভয় ক্ষেত্রে জিপিএ ন্যূনতম 2.50 (5.00 স্কেলে) থাকতে হবে।
গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম 2.50 সিজিপিএ (4.00 স্কেলে) সহ স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। এম.এসসি। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এম.এস.সি. ফ্যাশন ডিজাইনে প্রাসঙ্গিক শাখার স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন।
ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, যেগুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
১. বেসিক জানুন সবার আগে
সেলাই জানা হচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইন শেখার পূর্বশর্ত। সাধারণত ফ্যাশন শব্দটা শুনলেই পোশাকের ব্যাপারটা আগে আমাদের মাথায় আসে। আপনি সেলাই না জানলে কোন লাভ নেই। তাছাড়া জুতা বা ব্যাগের উপর কারুকার্য করতে চাইলেও সেলাই জানতে হবে।
সেলাইয়ের পাশাপাশি কাপড়ের প্রকারভেদ, ধরণ এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আরো জানতে হবে রঙের যাবতীয় খুঁটিনাটি, একদম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে।
২. ট্রেন্ডের দিকে চোখ রাখুন
ট্রেন্ড সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকবেন। ফ্যাশনের বাজারে তুমুল প্রতিযোগীতা চলে, কারণ মানুষের পছন্দ-অপছন্দ, রুচি খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়। সেই মোতাবেক কাজ করাটাও অনেক কঠিন।
আপনি ৫ বছর আগের ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে বসে থাকলে বা কাজ করলে এখন হয়তো বাজার পাবেন না, কিন্তু দেখা যাবে আরো ১০ বছর পরে আপনার সেই আইডিয়াটা কাজে আসবে। কাজেই ট্রেন্ড আর সময় দুটোর প্রতি সমানভাবে মনোযোগ দিবেন।
৩. ছবি আঁকতে জানতে হবে
এবারে আসি ডিজাইন বানানোর ব্যাপারে। আপনার যদি ছবি আঁকার হাত না থাকে, তাহলে এই পেশায় না আসাই ভাল হবে। এই পেশায় ছবি আঁকার দক্ষতা আর গ্রাফিক্স ডিজাইনে পারদর্শিতা অত্যন্ত জরুরি। Best Fashion House in Dhaka
গ্রাফিক্স ডিজাইনের টুলগুলোর মধ্যে Adobe Illustrator, Adobe Photoshop, AutoCAD ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। গুগল প্লে-স্টোরেও অনেক অ্যাপ পাবেন যেগুলো দিয়ে খুব সহজে ফ্যাশন ডিজাইন করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স করা ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন।
৪. মার্কেট সম্পর্কে জানুন
শুধু সেলাই, রং, কাপড় আর ডিজাইনের জ্ঞান থাকলেই হবেনা। আপনাকে বাজেট, মার্কেটিং এবং ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যাপারগুলোও মাথায় রাখতে হবে।
৫. সৃজনশীল হওয়া অত্যাবশ্যক
এতক্ষণ যা কিছু জানলেন, এগুলো কোন কাজেই আসবেনা যদি আপনি সৃজনশীল না হন। আপনি যদি সৃজনশীল ও চিন্তাশীল না হন তাহলে ডিজাইনে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করতে পারবেন না। নিত্যনতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার জন্যও অনেক পরিশ্রম করতে হবে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে প্যাশন। ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের জন্য প্যাশন না থাকলে যতই শিখুন, লাভ নেই কোন। ফ্যাশনকে ভালবাসতে হবে, ক্রিয়েটিভ হতে হবে, রং নিয়ে খেলতে হবে, আঁকিবুকি করতে হবে অনেক। তবেই একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন।
আয়ের ধরণ
ফ্যাশন ডিজাইন থেকে কিরকম আয় হতে পারে, সেটা বলা একটু মুশকিল। যেকোন কাজ আপনি যদি পুরোপুরি শিখে জ্ঞানটা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে ভাল আয় করতে পারবেন অনায়াসেই। ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই।
যদি নিজের ফ্যাশন হাউজ তৈরি করেন, তাহলে শুরুতে হয়তো আয় কম হবে। কিন্তু মার্কেটটা দখলে আনতে পারলে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। যদি কোন প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার হিসেবে যোগ দেন, তাহলে ফ্রেশার হিসেবে শুরুতে আনুমানিক ১০ বা ১২ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন। আর যদি অন্য কোথাও কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে বেতন আরো বেশি পাবেন। Best fashion house in Dhaka
নিজেকে তুলে ধরুন
আপনি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের সবকিছু শিখে জাহাজ হয়ে বসে আছেন, অথচ কেউ আপনাকে চিনল না। তাহলে কোন লাভ নেই কিন্তু। আপনাকে নিজের পরিচিতি তুলে ধরতে হবে। এটা না করলে কেউ আপনাকে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে জানবে না। কিছু সহজ কাজের মাধ্যমে আপনি নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন –
- কোন একটা জামা বা ব্যাগকে নিজের মত ডিজাইন করে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে/ ইনস্টাগ্রাম ফিডে পোস্ট করতে পারেন। বা কোন জুতা বা গয়নার উপর নিজের পছন্দমত কারুকার্য করে সেটাও পোস্ট করতে পারেন। এভাবে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করুন।
- সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনার কাজটাকে ইউটিউবে ভিডিও আকারে আপলোড করেন। এতে করে আপনার কাজের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণিত হবে পুরোপুরি।
- ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম/টুইটারে আলাদা একটা পেইজ বানিয়ে সেখানে আপনার ডিজাইনগুলো পোস্ট করতে পারেন। প্রয়োজনে পেইজ বুস্ট করুন। এতে করে সবার মনোযোগ আকর্ষণ সহজ হবে।
- লিংকডইনের প্রোফাইল আপনার জন্য আরেকটা প্লাস পয়েন্ট হবে। লিংকডইন মূলত পেশাজীবীদের প্লাটফর্ম। এখানে প্রোফাইল সঠিকভাবে তৈরি করতে পারলে পরিচিতি বাড়ানো সহজ হবে।
- পোর্টফোলিও তৈরি করতে ভুলবেন না। কন্টেন্ট রাইটিং, ফ্যাশন ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনের মত ক্রিয়েটিভ কাজে পোর্টফোলিও তৈরি ও আপডেট করা খুব জরুরি।
পরিশেষে
ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে আজ এই পর্যন্তই আলোচনা। সৃজনশীলতা, জ্ঞানের পরিধি আর প্যাশনকে কাজে লাগিয়ে আপনিও হতে পারেন ভাল ফ্যাশন ডিজাইনার। নিয়মমাফিক কাজ করবেন, পড়াশোনা করবেন, পাশাপাশি নিজে নিজে ক্রিয়েটিভ কিছু করার চেষ্টা করবেন। ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন!Best fashion house in Dhaka
Comments
Post a Comment