Hair care from best fashion house in Dhaka
গরমের দিন মানেই চুল নিয়ে বাড়তি চিন্তা! একে তো গরমের বিশ্রী ধুলো আর ঘাম, তার সঙ্গে চুলের রুক্ষভাব তো আছেই! সব মিলিয়ে গরম এলেই খুসকি, ডগাফাটা চুল আর চুলের রুক্ষতাও যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে পড়ে! বাতাসের আর্দ্রতা এই সময় বেশি থাকায় চুল নেতিয়েও থাকে। কাজেই এই গরমের দিনগুলোয় চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া খুব দরকার! আমরা জানিয়ে দিচ্ছি কিছু জরুরি টিপস।
চুলেরও চাই এসপিএফ
শুধু মুখে সানস্ক্রিন মাখলেই হবে না, একই যত্ন দরকার আপনার চুলেরও! বাড়ির বাইরে পা দেওয়ার আগে চুলে আর স্ক্যাল্পে সানস্ক্রিন লাগিয়ে মাসাজ করে নিন।
চুল বেঁধে রাখুন
গরমে খোলা চুল মানেই প্রচণ্ড অস্বস্তি। তাই চুলটা বেঁধে রাখাই ভালো! বাহারি স্কার্ফ বা টুপিতে ঢেকে রাখুন চুল।
শ্যাম্পুর কেরামতি
চুলের সম্পূর্ণ দেখভাল করতে নারিশিং শ্যাম্পু মাখুন। নারকেল, শিয়া বাটার, আর্গান অয়েল-বেসড শ্যাম্পু চুলের পক্ষে ভালো! একই সঙ্গে শ্যাম্পু ঠিকমতো লাগানোও সমান জরুরি! চুলে সরাসরি শ্যাম্পু লাগাবেন না। স্ক্যাল্পে ঘষে ফেনা করুন, তারপর সেই ফেনা চুলে লাগিয়ে ধুয়ে নিন। তাতে অতিরিক্ত শ্যাম্পুতে চুল রুক্ষ হবে না।
চুলের আর্দ্রতা রক্ষা জরুরি
1. গরম আর ঘাম চুল এতটা চটচটে করে দেয় যে, মনে হয় রোজ শ্যাম্পু করি! কিন্তু তাতে চুল রুক্ষ হওয়া অবশ্যম্ভাবী! সপ্তাহে তিনবারের বেশি কোনওমতেই শ্যাম্পু করবেন না আর প্রতিবার কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন! চুল ডিপ কন্ডিশনিং করতে কন্ডিশনারের বদলে হেয়ার মাস্ক লাগান। ঘরোয়া হেয়ার প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। ডিম, দই আর মধু দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক শুকনো বিবর্ণ চুলের জন্য খুব উপকারী!
2. আর্দ্রতা চুলের গভীরে ধরে রাখতে কন্ডিশনিংয়ের পাশাপাশি থেরাপিউটিক হেয়ার অয়েল মাসাজ করতে পারেন। নারকেল, অলিভ আর আমন্ড অয়েল চুলের স্বাস্থ্য আর বাড়বৃদ্ধির পক্ষে খুব ভালো! সাত দিন বা চোদ্দ দিন অন্তর চুলে অয়েল মাসাজ নিন।
3. এ ছাড়া হাতের কাছে রাখুন হাইড্রেটিং হেয়ার মিস্ট। রুক্ষতার হাত থেকে চুলকে রক্ষা করবে এই মিস্ট। অ্যালো ভেরা জেলে জল মিশিয়ে পাতলা করে নিলেও দারুণ ঘরোয়া হেয়ার মিস্ট পেয়ে যাবেন!
চুলেরও চাই এসপিএফ
শুধু মুখে সানস্ক্রিন মাখলেই হবে না, একই যত্ন দরকার আপনার চুলেরও! বাড়ির বাইরে পা দেওয়ার আগে চুলে আর স্ক্যাল্পে সানস্ক্রিন লাগিয়ে মাসাজ করে নিন।
চুল বেঁধে রাখুন
গরমে খোলা চুল মানেই প্রচণ্ড অস্বস্তি। তাই চুলটা বেঁধে রাখাই ভালো! বাহারি স্কার্ফ বা টুপিতে ঢেকে রাখুন চুল।
শ্যাম্পুর কেরামতি
চুলের সম্পূর্ণ দেখভাল করতে নারিশিং শ্যাম্পু মাখুন। নারকেল, শিয়া বাটার, আর্গান অয়েল-বেসড শ্যাম্পু চুলের পক্ষে ভালো! একই সঙ্গে শ্যাম্পু ঠিকমতো লাগানোও সমান জরুরি! চুলে সরাসরি শ্যাম্পু লাগাবেন না। স্ক্যাল্পে ঘষে ফেনা করুন, তারপর সেই ফেনা চুলে লাগিয়ে ধুয়ে নিন। তাতে অতিরিক্ত শ্যাম্পুতে চুল রুক্ষ হবে না।
চুলের আর্দ্রতা রক্ষা জরুরি
1. গরম আর ঘাম চুল এতটা চটচটে করে দেয় যে, মনে হয় রোজ শ্যাম্পু করি! কিন্তু তাতে চুল রুক্ষ হওয়া অবশ্যম্ভাবী! সপ্তাহে তিনবারের বেশি কোনওমতেই শ্যাম্পু করবেন না আর প্রতিবার কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন! চুল ডিপ কন্ডিশনিং করতে কন্ডিশনারের বদলে হেয়ার মাস্ক লাগান। ঘরোয়া হেয়ার প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। ডিম, দই আর মধু দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক শুকনো বিবর্ণ চুলের জন্য খুব উপকারী!
2. আর্দ্রতা চুলের গভীরে ধরে রাখতে কন্ডিশনিংয়ের পাশাপাশি থেরাপিউটিক হেয়ার অয়েল মাসাজ করতে পারেন। নারকেল, অলিভ আর আমন্ড অয়েল চুলের স্বাস্থ্য আর বাড়বৃদ্ধির পক্ষে খুব ভালো! সাত দিন বা চোদ্দ দিন অন্তর চুলে অয়েল মাসাজ নিন।
3. এ ছাড়া হাতের কাছে রাখুন হাইড্রেটিং হেয়ার মিস্ট। রুক্ষতার হাত থেকে চুলকে রক্ষা করবে এই মিস্ট। অ্যালো ভেরা জেলে জল মিশিয়ে পাতলা করে নিলেও দারুণ ঘরোয়া হেয়ার মিস্ট পেয়ে যাবেন!
পরবর্তী গল্প
মাথায় ঘাম জমতে দেবেন না, স্ক্যাল্প রাখুন তরতাজা
আসছি আসছি করতে করতে এতদিনে পুরোদমে গরম পড়ে গেছে, অথচ এখনও বাড়িতে বাড়িতে সেভাবে এসি চালানো শুরু হয়নি। করোনা সংক্রমণের ভয়ে এসি থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখতেই চাইছেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু গরম তো তা বলে শুনবে না! কাজেই জ্যৈষ্ঠের গরম আর আর্দ্রতা মিলিয়ে ঘাম হচ্ছে প্রচুর, আর সবচেয়ে বেশি ঘামছে চুল! স্ক্যাল্পে ঘাম বসে মাথার তালুতে বিশ্রী চুলকোচ্ছে, চুল উঠেও যাচ্ছে দেদার! সত্যি বলতে গরমের দিনে মাথার তালু ঘামা একটা বাজে সমস্যা! দেখে নিন কীভাবে রেহাই পাবেন এই সমস্যা থেকে!
একদিন অন্তর শ্যাম্পু করুন
যদিও সপ্তাহে দু'বার, বড়োজোর তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক নয়, তবে মাথায় খুব ঘাম জমলে উপায় নেই। হালকা ক্ল্যারিফায়িং শ্যাম্পু তালুতে অল্প একটু ঘষে চুল ধুয়ে নিন। প্রতিবার চুলে কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন, তাতে স্ক্যাল্প আর চুল দুইই তরতাজা থাকবে।
চুল ছোট করে কেটে নিন
যেহেতু বাড়ি থেকে বেরোনোর পাট আপাতত নেই, কাজেই চুল একটু ছোট করে কেটে ফেললে আরাম পাবেন। এ কাজে বাড়ির কারও সাহায্য নিতে হবে। নিজেও কাটা যায়, কিন্তু এক্সপার্ট হাত না হলে সে ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো। শ্যাম্পু করা চুল ভালো করে আঁচড়ে আঁচড়ে বড়ো কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলুন। একটু এদিক ওদিক হলে ক্ষতি নেই, চুল আবার বড়ো হয়ে যাবে। পরে পার্লার থেকে সুন্দর করে কাটিয়ে নেবেন।
চুল সারাক্ষণ বেঁধে রাখবেন না
চুল কাটার সাহস পাচ্ছেন না? যদি চুল না কাটেন, তা হলে লম্বা চুল কিন্তু সারাদিন বেঁধে রাখবেন না! গরম এড়াতে অনেকে সেই কাজটাই করেন, ফলে চুলের গোড়ায় খুব ঘাম জমে যায়। মাঝেমাঝে চুল খুলে পাখার নিচে বসুন, ভালো করে চুলটা শুকিয়ে নিন।
ভেজা চুল বাঁধবেন না
চুল ভেজা অবস্থায় বেঁধে রাখলে চুলের ক্ষতি তো হয়ই, চুলের গোড়ায় ঘামও জমতে থাকে। চুল ভালো করে শুকিয়ে তবে আলগা করে বেঁধে রাখবেন। খুব টাইট করে বাঁধলে গোড়ায় চাপ পড়ে চুল দুর্বল হয়ে যাবে।
ভরসা রাখুন হেয়ার মাস্কে
বিশেষ বিশেষ হেয়ার মাস্ক চুলে ঘাম আর তেল জমা কমাতে পারে। তিন টেবিলচামচ লেবুর রসের সঙ্গে দু' টেবিলচামচ ডাবের জল মিশিয়ে সেটা স্ক্যাল্পে ভালো করে ঘষে ঘষে মেখে নিন। 15 মিনিট রাখুন, তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্যাল্প পরিষ্কার হবে, চুলে একটা তরতাজা গন্ধও থাকবে।
পেপারমিন্ট অয়েলের কেরামতি
শ্যাম্পু বা তেল মাখার আগে তাতে কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে নিন। পেপারমিন্ট অয়েলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ রয়েছে যা স্ক্যাল্প ফ্রেশ রাখে।
পরবর্তী গল্প
চুলের বিশেষ চাহিদা অনুযায়ী বানিয়ে নিন আপনার একান্ত নিজস্ব স্পেশাল তেল
জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা! টাং টুইস্টার হিসেবে এই বাক্যটি যতটা জনপ্রিয়, তার সত্যতাও ততটাই! চুলে নিয়মিত তেল মাখলে তা যেমন চুলের গোড়ায় পুষ্টি জুগিয়ে চুল মজবুত করে তোলে, তেমনি চুল আর্দ্র সতেজ রেখে ধরে রাখে স্বাভাবিক চকচকেভাব। কিন্তু প্রতিটি মানুষ যেমন আলাদা, তেমনি তাঁদের চুলের সমস্যা ও চাহিদাও ভিন্ন ভিন্ন। কারও হয়তো খুসকির সমস্যা, আবার কারও চুল আর্দ্রতার অভাবে শুষ্ক, বিবর্ণ! আবার যাঁদের চুল স্বাভাবিকভাবেই তেলতেলে, সামান্য ভারী তেলেও তাঁদের চুল প্রচণ্ড নেতিয়ে পড়ে। ফলে তাঁদের দরকার হালকা তেল!
মুশকিল হল, এতরকম তেল তো আর রেডিমেড পাওয়া সম্ভব নয়, তাই অনেক সময়ই চুলের বিশেষ চাহিদাগুলো অবহেলিত হয়। সাধারণভাবে যে কোনও ধরনের চুলের জন্যই কোল্ডপ্রেসড অর্গানিক তেল ব্যবহার করা ভালো। তবে তার সঙ্গে যদি মিশিয়ে নিতে পারেন কিছু বিশেষ ভেষজ উপাদান, তা হলে আপনার চুলের নানা সমস্যাকে দূরে রাখতে পারবেন সহজেই।
নতুন চুলের জন্য জবাফুল
আপনার চুল কি পাতলা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন? তা হলে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন জবাফুলের গুণ। পাঁচটা জবাফুল আর পাঁচটা জবাপাতা একসঙ্গে থেঁতো করে মসৃণ পেস্ট করে নিন। এবার ১০০ মিলি অলিভ বা নারকেল তেলের মতো কেরিয়ার অয়েল পাত্রে নিয়ে গরম করুন। তেল গরম হয়ে উঠলে তাতে থেঁতো করা ফুল-পাতার পেস্টটা দিয়ে দিন। তেল ফুটে উঠলে আঁচ থেকে নামিয়ে ছাঁকনিতে ছেঁকে এয়ার টাইট বোতলে ভরে রাখুন। প্রতিবার এই তেলই মাথায় আর স্ক্যাল্পে ভালো করে মাসাজ করে আধঘণ্টা রাখবেন, তারপর শ্যাম্পু করে নেবেন।
খুসকি কমাতে লেবু
অনেকদিন ধরে খুসকি ভোগাচ্ছে? আপনার দরকার লেবুর গুণ কমলালেবু আর পাতিলেবুর খোসা রোদে খটখটে করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তারপর 100 মিলি নারকেল বা অলিভ অয়েল গরম করে তাতে এক টেবিলচামচ লেবুর খোসার গুঁড়ো দিন। তেল ফুটে গেলে নামিয়ে ছাঁকনিতে ছেঁকে ব্যবহার করুন।
চুল ওঠার জন্য আমলকি
আমলকি গুঁড়ো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন। 100 গ্রাম আমলকি পাউডার বানাতে পনেরো-কুড়িটা আমলকি টুকরো করে কেটে রোদে খটখটে করে শুকিয়ে নিন। একদম শুকিয়ে গেলে ব্লেন্ডার বা গ্রাইন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নেবেন। এবার ওই গুঁড়ো থেকে অর্ধেকটা নিয়ে চার লিটার জলে ফেলে ফোটান। জল ফুটে ফুটে অর্ধেক হলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। জল ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। এবার আর একটা পাত্রে বাকি অর্ধেক আমলকি পাউডার অল্প জলে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। আমলকি গুঁড়ো মেশানো যে জলটা ঠান্ডা হতে দিয়েছিলেন, তাতে এই পেস্ট আর এক কাপ পরিমাণ অর্গানিক নারকেল তেল যোগ করে ফের আঁচে বসান। পুরো জলটা ফুটে ফুটে উবে যাবে, পড়ে থাকবে শুধু তেল আর আমলকি পাউডারের মিশ্রণ। ঠান্ডা করে এয়ার টাইট কৌটোয় ভরে রাখুন। সপ্তাহে দু' দিন এই তেল ব্যবহার করুন।
মাথার চুলকানির জন্য তুলসি
তুলসির নির্যাসযুক্ত তেল বানাতে প্রথমেই একগোছা তুলসিপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে অল্প জলে বেটে নিন। এর পর 100 মিলি কোল্ড-প্রেসড নারকেল তেল নিভু আঁচে গরম করে তাতে তুলসিপাতা বাটাটা দিয়ে দিন। ইচ্ছে করলে এর সঙ্গে এক চাচামচ মেথিও দিতে পারেন। তেলটা মিনিট দশেক কম আঁচে গরম করুন, তারপর নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে এয়ারটাইট কৌটোয় ভরে রেখে দিন, প্রয়োজনমতো ব্যবহার করুন।
পাকা চুল কমাতে কারিপাতা
দু' টেবিলচামচ পরিমাণ কোল্ড প্রেসড নারকেল তেল গরম করুন, তাতে কারিপাতাগুলো দিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে রাখবেন, তাতে কারিপাতাগুলোর ধার বরাবর কালো কালি তৈরি হতে শুরু করবে। পাতা কালো হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে তেল ঠান্ডা হতে দিন, তারপর ছেঁকে নিন। পাকা চুলের উৎপাত কমাতে সপ্তাহে দু' তিনবার ব্যবহার করা যায় এই তেল।
পরবর্তী গল্প
শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়মের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সুস্থ চুলের ঠিকানা
স্বাস্থ্যের দীপ্তিতে ভরপুর, ঝলমলে, মসৃণ একমাথা চুলের আকাঙ্ক্ষা কার না থাকে! আর সেই আকাঙ্ক্ষাটুকু মেটানোর জন্য কত কাঠখড়ই না পোড়াতে হয়! অথচ শুরু থেকে একটু নজর দিলে তেমন চুল পাওয়া মোটেই কষ্টসাধ্য নয়! শুধু কয়েকটা ছোটখাটো, খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর দিতে হবে! যেমন নিয়মিত স্ক্যাল্প আর চুল পরিষ্কার রাখা, পুষ্টিকর, সুষম খাবার খাওয়া, সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে তেল মাখা আর অবশ্যই ঠিকমতো স্নান করা! সত্যি বলতে শুধু চুল ঠিকমতো ধোওয়া আর শুকোনোর উপরেও চুলের স্বাস্থ্য ভীষণভাবে নির্ভর করে এবং এই দুটো কাজ ঠিকঠাক করতে পারলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চুলে চোখে পড়ার মতো বদল আসবে!
আসলে সুস্থ চুলের গোড়ার কথা হল আর যাই হোক না কেন, চুল পরিষ্কার থাকা চাই! আর তার জন্য চাই নিয়মিত শ্যাম্পু আর কন্ডিশনিং। কাজেই শ্যাম্পু করার সময় ও তার আগেপরে যদি কিছু নিয়ম মেনে চলেন, তা হলে শ্যাম্পুর পুরো ফায়দাটা পাবে আপনার চুল। অবাক হচ্ছেন? তা হলে নিজেই জেনে নিন!
শ্যাম্পু করার আগে স্টিম নিন
ঠিক যেভাবে মুখে স্টিম নিলে গভীর থেকে তেলময়লা বেরিয়ে আসে, একই কথা বলা যায় চুলের বেলাতেও! চুলে স্টিম নিলে চুলের গোড়ায় জমে থাকা সেবাম, খুসকি ও নোংরা আলগা হয়ে উঠে আসে। চুলে স্টিম নিতে হলে একটা তোয়ালে গরমজলে ডুবিয়ে নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। 20 মিনিট রেখে তারপর শ্যাম্পু করতে ঢুকুন।
স্টিম নেওয়া চুল মাসাজ করে নিন
শ্যাম্পু করতে শুরু করার আগে চুলের গোড়ায় গোড়ায় আঙুল চালিয়ে কয়েক মিনিট মাসাজ করে নিলে ময়লাগুলো আলগা হয়ে উঠে আসবে, দুর্বল চুলও উঠে যাবে।
ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু করুন
চুলের পক্ষে গরমজল ভীষণ ক্ষতিকর। তাই সবসময় ঠান্ডা বা কুসুমগরম জলই মাথায় ঢালবেন। গরমজল চুলের স্বাভাবিক তেল নষ্ট করে চুল রুক্ষ করে দেয়, অন্যদিকে ঠান্ডা জল চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে শ্যাম্পু করার পর চুল অনেক বেশি জেল্লাদার আর চকচকে দেখায়।
শ্যাম্পুর গুণমানের কথা মাথায় রাখুন
প্রাকৃতিক বা হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। অন্য শ্যাম্পুও মাখতে পারেন, কিন্তু দেখে নেবেন তাতে যেন প্যারাবেন বা সালফেট না থাকে। এই দুটি রাসায়নিকই স্ক্যাল্পে প্রদাহ বা অ্যালার্জির কারণ হয়ে উঠতে পারে, তা ছাড়া ক্যান্সারের কারণ হিসেবেও এই দুটি রাসায়নিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই প্যারাবেন বা সালফেটমুক্ত অর্গানিক শ্যাম্পুই ব্যবহার করুন।
শ্যাম্পু লাগাবেন স্ক্যাল্প
আমরা অনেকেই প্রথমে চুলে শ্যাম্পু লাগাই, তারপর গোড়ায় বা স্ক্যাল্পে মাখি। চুল শুকনো নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ার বড়ো কারণ এটি। চুলে শ্যাম্পু লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই চুলের স্বাভাবিক তেলের আস্তরণটি নষ্ট হয়ে যায়, চুল রুক্ষ বিবর্ণ হয়ে পড়ে। তাই শ্যাম্পু শুধুমাত্র স্ক্যাল্পেই লাগাবেন, ভালো করে মাসাজ করে ফেনা করে নেবেন। সেই ফেনাই বাকি চুলে লেগে চুল পরিষ্কার রাখবে।
শ্যাম্পুর সময় হালকা মাসাজ করুন
শ্যাম্পুতে ফেনা তোলার জন্য আঙুলের ডগা দিয়ে চুলের গোড়ায়, মাথার তালুতে কোমলভাবে মাসাজ করুন। স্ক্যাল্পে জমে যাওয়া ময়লা সব উঠে আসবে। তা ছাড়া মাসাজের ফলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন হবে, ফলে চুলের গোছও ভালো থাকবে।
প্রতিদিন শ্যাম্পু নয়
বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেই কিছু না কিছু কেমিক্যাল থাকে যা রোজ ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ আর কর্কশ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সপ্তাহে দু'বার, বড়োজোর তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না।
অনেকক্ষণ ধরে শ্যাম্পু করবেন না
ভেজা অবস্থায় চুল খুব স্পর্শকাতর অবস্থায় থাকে, সামান্য এ দিক ও দিক হলেই তা ভেঙে ঝরে যেতে পারে। তাই বেশিক্ষণ ধরে শ্যাম্পু করবেন না, তাতে চুল খুব দুর্বল হয়ে পড়বে। চুল ভেজানোর পর 15 মিনিটের মধ্যে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনিং, দুটোই সেরে ফেলুন।
পরবর্তী গল্প
খুসকির সমস্যায় হয়রান? আপনার মুশকিল আসান করবে নারকেল তেল
যতই চুলের পরিচর্যা করুন, কিছুতেই পিছু ছাড়তে চায় না খুসকি। শুধু শ্যাম্পু আর কন্ডিশনিং করে সে খুসকি সামাল দেওয়া মুশকিল, ফলে দরকার বিশেষ যত্ন। এতদিন স্পেশাল ড্যানড্রাফ ট্রিটমেন্ট করে যাও বা খুসকি বশে থাকছিল, ইদানীং লকডাউনের সুবাদে পার্লারে তালা পড়ে যাওয়ায় সে সুবিধেটুকুও আপাতত অতীত! এদিকে খুসকিও ক্রমশ বেড়েই চলেছে! কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এই সমস্যা থেকে?
এমন প্রশ্ন হয়তো অনেকের মাথাতেই ঘুরছে, আর মুশকিল আসানও রয়েছে হাতের কাছেই! আপনার চিরপরিচিত নারকেল তেল দিয়েই সহজে কমিয়ে ফেলতে পারবেন খুসকি। নারকেল তেলের ছত্রাক বিনষ্ট করার ক্ষমতা রয়েছে এবং তা চুলের গভীরে ঢুকে চুলের পুষ্টি জোগায় এবং যে কোনওরকম সংক্রমণ থেকে স্ক্যাল্পকে মুক্ত রাখতে পারে। তা ছাড়া নারকেল তেলের ছোঁয়া লেগে রুক্ষ, জৌলুসহীন চুলও আর্দ্রতা ফিরে পায়।
কীভাবে খুসকি তাড়াতে ব্যবহার করবেন নারকেল তেল? রইল হদিশ।
নারকেল তেল দিয়ে ডিপ কন্ডিশনিং
সহজেই চুলের গভীরে ঢুকে চুল মসৃণ কোমল করে তুলতে জুড়ি নেই নারকেল তেলের। কাজেই নারকেল তেল দিয়ে ডিপ কন্ডিশনিং করলে শুষ্ক স্ক্যাল্পের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন আপনি। প্রথমে চুলটা শ্যাম্পু করে নিন, কন্ডিশনিং করবেন না। তারপর আধভেজা চুল কয়েকটা ভাগে ভাগ করে হাতের পাতায় পরিমাণমতো নারকেল তেল নিয়ে স্ক্যাল্পে আর চুলে লাগাতে শুরু করুন। গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল লাগাবেন। তারপর শাওয়ার ক্যাপে চুল ঢেকে আধঘণ্টা অপেক্ষা করুন। হয়ে গেলে আর একবার ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। চুলে তেলের অবশেষ যেন থেকে না যায়।Best fashion house in dhaka
হট অয়েল মাসাজ
শুষ্ক স্ক্যাল্পই খুসকির প্রথম আর প্রধান কারণ। তা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে নারকেল তেল দিয়ে অয়েল মাসাজ। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী নারকেল তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিন। গরম তেলে আঙুল ডুবিয়ে পুরো স্ক্যাল্প মাসাজ করুন। অন্তত 10-15 মিনিট মাসাজ করতে হবে। খেয়াল রাখুন যেন পুরো মাথায় মাসাজ হয়। বাকি তেলটা চুলে মেখে নিন। আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনিং করে নিন।
নারকেল তেল আর লেবুর রস
লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড চুলের পিএইচ লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে, স্ক্যাল্পকে সংক্রমণের হাত থেকেও বাঁচায়। নারকেল তেলের গুণের সঙ্গে লেবুর গুণ যুক্ত হলে খুসকি পালাতে বাধ্য! দু' টেবিলচামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক চাচামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে তা স্ক্যাল্পে আর চুলে মেহে নিন। কয়েক মিনিট মাসাজ করুন, তারপর মিনিট কুড়ি ওভাবেই রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিলেই হল!
নারকেল তেল আর জোজোবা তেল
জোজোবার তেলের গঠন অনেকটা আমাদের মাথায় তৈরি হওয়া প্রাকৃতিক তেলের গঠনের মতোই! তাই শুষ্ক স্ক্যাল্প আর চুলে প্রাণ ফেরাতে জোজোবা অয়েল অনেকেই ব্যবহার করেন। স্ক্যাল্পে কোনওরকম সংক্রমণ হলে তা কমাতে পারে জোজোবা অয়েল। ফলে শুষ্ক স্ক্যাল্পের কারণে যদি খুসকি হয়ে থাকে তা হলে চোখ বন্ধ করে বেছে নিন নারকেল তেল আর জোজোবা তেলের কম্বিনেশন। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী সমপরিমাণে নারকেল তেল আর জোজোবা অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় আর চুলে মাখুন। পুরো মাথায় তেল মাখা হয়ে গেলে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুলটা আধ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন, তারপর শ্যাম্পু করে নিন। আপনার স্ক্যাল্প অয়েলি হলে কন্ডিশনার লাগানোর দরকার নেই।
নারকেল তেল আর রোজমেরি অয়েল
খুসকির পাশাপাশি মাথায় বিশ্রী চুলকুনিও হচ্ছে? তা হলে নারকেল তেলের পাশাপাশি আপনার দরকার রোজমেরির তেল। চার টেবিলচামচ নারকেল তেলের সঙ্গে পাঁচ-ছ' ফোঁটা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে মাথায় ভালোভাবে মেখে নিন। তারপর আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। খুসকি আর চুলকুনি দুটোই পালাবে!
পরবর্তী গল্প
গরমে চুল সুস্থ ও সুন্দর রাখার 15 টি টিপস
Comments
Post a Comment